শেরপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানের মা রাবেয়া বেগম (৮০) এর নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সকালে তাঁর নামাজে জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামিলীগের নেতাকর্মী, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও আত্মিয় স্বজনদের শোকে ভারী হয়ে উঠে মৈত্রীবাড়ি মাঠ। জানাজার নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ কানায় কানায় ভরে উঠে।
তিনি ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)।
তিনি দীর্ঘদিন যাবত দুরারোগ্য ক্যান্সার সহ বার্ধক্যজনিত জটিল রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি জেলা যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম ইয়াকুব ও মো. মোকাদ্দেছসহ ৫ পুত্র ও ৩ মেয়েসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
বুধবার সকাল ১১টায় শেরপুর শহরের মৈত্রীবাড়ি মাঠে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় মরহুমার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুঠোফোনে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আতিউর রহমান আতিক এমপি। ওইসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মরহুমার জ্যেষ্ঠ পুত্র জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা মরহুমাকে একজন অনুসরণীয়, পরহেজগার ও মহিয়সী নারী হিসেবে উল্লেখ করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন। সেইসাথে মরহুমার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
জানাজায় শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনিরুল হাসান ও বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লী শরিক হন।
নামাজে জানাজা শেষে শহরের নিজ এলাকা মীরগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।