২৫০ কোটি টাকায় ‘স্পেসশিপ’ কিনেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ সুপারস্টারের গ্যারেজ ভর্তি কোটি কোটি টাকার সুপার কার। চলাচলের জন্য রয়েছে ব্যক্তিগত বিমানও। অবকাশ যাপনে ব্যবহার করেন বিলাসবহুল প্রমোদতরী। ক্রীড়া গণমাধ্যম গোলডটকম জানিয়েছে, এবার স্পেসশিপ কিনলেন রোনালদো!
মহাকাশ যানের ইংরেজি সমার্থক স্পেসশিপ। কোটি কোটি টাকার মালিক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মহাকাশ যাত্রার জন্য ব্যক্তিগত যানের ব্যবস্থা করতেই পারেন। তবে যে স্পেসশিপটি রোনালদো কিনেছেন, সেটি বিশ্ববিখ্যাত ইতালিয়ান গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফেরারির ডেটোনা এসপি৩ ব্র্যান্ডের গাড়ি।
৮৪০ হর্সপাওয়ার এবং ৬৯৭ এনএম টর্ক সম্পন্ন সুপারকারটিকে স্পেসশিপের সঙ্গে তুলনা করেছে লিসবনভিত্তিক গাড়ির প্রতিষ্ঠান ‘লিসবন কারস’। প্রতিষ্ঠানটি রোনালদোর নতুন গাড়ির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছে, ‘সিআরসেভেনের একদম নতুন স্পেসশিপ।’ মহাকাশ যানের সঙ্গে তুলনার কারণও রয়েছে। ফেরারি ডেটোনা এসপি৩ গাড়িটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে।
ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে ডেটোনা এসপি৩-এর প্রয়োজন মাত্র ০.৮৫ সেকেন্ড। ক্রীড়া গণমাধ্যম গোলডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিলাসবহুল নতুন গাড়িটি কিনতে ক্রিস্টিয়ানোর খরচ হয়েছে ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪৯ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকারও বেশি (প্রায় ২৫০ কোটি টাকা)।
রোনালদোর সংগ্রহে থাকা গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে- রোলস-রয়েস কুলিনান, যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৫০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার সমান। রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড ফেরারির এফ১২ টিডিএফ ব্র্যান্ডের গাড়ি, যার বাজারমূল্য ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৭ ডলার বা ১০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। রয়েছে ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেন্টেডর, নিজের ২৭তম জন্মদিনে এটি কিনেছিলেন রোনালদো। যার দাম ৫ লাখ ৫০ হাজার ৫৪২ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ১৫ লাখ টাকারও বেশি।
এছাড়াও বুগাটি চেন্তোদিয়েসি (৮.৮ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৯৭ কোটি টাকা), পোরশা ৯১১ টার্বো এস (২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫০ ডলার বা ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা), ফেরারি এফ৪৩০-এর (১ লাখ ৮৬ হাজার ডলার বা ২ কোটি ৫ লাখ টাকা) মতো আরো অনেক দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি রয়েছে রোনালদোর গ্যারেজে। আল নাসর তারকার যাতায়াতের জন্য রয়েছে ব্যক্তিগত বিমানও। গাল্ফস্ট্রিম কোম্পানির সেই প্রাইভেট জেটটির দাম ৭৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার বাজারদর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। ২০২০ সালে সমুদ্র ভ্রমণের জন্য ৫.৫ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৭৫ কোটি টাকা দিয়ে একটি ইয়ট কিনেন ক্রিস্টিয়ানো।